বিসিএসএফ সদস্যদের মাদারীপুরে সেনা বাহিনী ও আনসার অফিসে সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ ক্যাডেট সেফটি যুব ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রী সাধারণ সম্পাদক জনাব হাফিজুর রহমান সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মাদারীপুর জেলায় দায়ীত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তার সাথে মাদারীপুর জেলা সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল হাওলাদারসহ অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর ক্যাডেটদের সাথে মত বিনিময় পরবর্তী ফোট সেশন

সৈরাচার সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ হতে পলায়ন করলে কিছু দুর্বিত্ত অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। গত জুলাই মাস থেকে আন্দোলন দমনের নামে আওয়ামী লীগ দলিয় সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী কে ব্যবহার করেছেন। পুলিশের গুলিতে অসংখ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা নিহত ও আহত হয়েছেন।
গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পলায়ন করেন। তখন সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন থানায় হামলা চালায়। পুলিশ থানা ছেড়ে পলায়ন করেন এবং পরে পুলিশের একটি অংশ কর্মবিরোতি পালনের ঘোষণা করেন।তখন পুলিশের সেন্ট্রাল কমান্ড ভেঙে পরে।

জনাব হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আমরা একটি সুশৃঙ্খল সেচ্ছাসেবী দল। দেশের প্রয়োজনে আজ আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোন প্রয়োজনে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করবো।”
তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশ ক্যাডেট সেফটি যুব ফাউন্ডেশন তরুণদের একটি দল। যারা দেশের প্রয়োজনে যেকোন কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী আমাদের যে দায়িত্ব দিবেন আমরা তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো।

মাদারীপুর কলেজে সেনা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতের পর কলেজ ভবনের সামনে ফটো সেশন

গত ১৮ জুলাই হতে, বাংলাদেশ ক্যাডেট সেফটি যুব ফাউন্ডেশনের সদস্যরা হাসপাতালে আহত আন্দোলনকারীদের সেবা প্রদান করে আসছেন। শহীদদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখছেন।

জনাব হাফিজুর রহমান আরও বলেন, “আমার নেতৃত্বে অসংখ্য আহত রোগীর সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। এমন অনেক আহত ছিল যাদের কোন স্বজন ছিলনা। তাদের ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। যাদের অপারেশন প্রয়োজন তাদের অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি মোঃ লিটন নামের গুলিবিদ্ধ এক আহত ভাইয়ের সারা সার তার সাথে হাসপাতালে থেকে সকাল ১০ টায় সম্পন্ন করে বাসায় যাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *