চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে গত মাসে কিছু দিন ছুটি এবং সীমিত সময়ে অফিস চলার পর, সরকার আগামীকাল সোমবার থেকে আবারও তিন দিনের (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। আজ রোববার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা এবং উপজেলা সদরের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কারফিউ জারির পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে যে, নির্বাহী আদেশে এই ছুটি দেওয়া হয়েছে এবং এর শর্ত আগের ছুটির মতোই থাকবে। সাধারণ ছুটির সময় সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এসব সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
হাসপাতাল ও জরুরি সেবার কর্মী, চিকিৎসক, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়া জরুরি কাজের সাথে যুক্ত অফিসগুলোও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। আদালত এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা নির্দেশনা দেবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগে, ১৯ জুলাই রাতে সরকার সারা দেশে কারফিউ জারি করে। সেই সময় প্রথমে দুইদিন (২১ ও ২২ জুলাই) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, পরে তা বাড়ানো হয় এবং কয়েক দিন সীমিত সময়সূচিতে অফিস চলে। এরপর ৩১ জুলাই থেকে অফিস স্বাভাবিক সময়সূচিতে ফিরে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে এবং আজ থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব পরিস্থিতিতে কারফিউ জারির পর তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
সূত্র: প্রথম আলো।