বিএনসিসি মানে আবেগ। বিএনসিসি মানে ভালোবাসা, শাসন আর প্রশিক্ষণ। দায়িত্ববান হওয়া শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এখানে একজন ক্যাডেট তার আবেগ, ভালোবাসা ও ভালোলাগা প্রকাশ করেছেন। তার লেখার শিরোনাম ছিল, “ সিনিয়র হওয়া উচিত এমন”। সব সিনিয়রদের জন্য একটি শিক্ষা রয়েছে।
এখানে ক্যাডেট জান্নাত আরশি সাফার একটি ফেইজবুক পোস্ট এরকম ছিল। তার লেখা হুবাহু তুলে ধরা হলো নিচে-
“২০২৩ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প…জীবনের প্রথম ক্যাম্প অনেক এক্সাইটেড ছিলাম।
ক্যাম্প ছিলো ৭ দিনের। প্রথম দিনেই আপুকে সিনিয়র বানিয়ে দেওয়া হয় (Sick SGT)। আর আমাকে বানানো হয় আপুর টো আই সি। যেহেতু কোনো ফিমেল CUO/SGT ছিলো না তাই। আপুর আর আমার র্যাংক সেম ছিলো কিন্তু আপু অনার্সের ছিলো। ৭ দিনের ক্যাম্পের ৫ দিনের দিন ফায়ারিং হয় আর ফায়ারিং- এর আগের দিন আমি অসুস্থ হয়ে পরি।
যেহেতু আপু মেয়েদের সিনিয়র ছিলো সব কিছুর দিকে নজর রাখতে হতো আপুর। মেডিকেল রুমে আমি সহ আরো ৩/৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা। আপু এসেই আমাকে বলে কিরে কি হইছে তোর? অনেক খারাপ লাগতেছে? আমি শুধু মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললাম। আমার খেয়াল ছিলো না বাট হালকা মনে পরে আপু সাথে সাথে আমার পা থেকে বুট খুলে দেয়। ব্যারেট আর বেল্ট খুলে দিয়ে বলে ”রিলাক্স কর ঠিক হয়ে যাবি”। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেডিকেল রুমেই বসে ছিলাম। এই সময়টুকুর মধ্যে আপু যে কতবার আসছে হিসাব নেই। এসেই বলতো সাফা কেমন লাগতেছে তোর ঠিক আছিস? দুপুরের খাবারটাও আপু নিজের হাতে খাওয়ায় আমাকে।
জানি না আপুর সাথে আর দেখা হবে কি না বাট ওইদিনই আপু আমার মন জিতে ফেলছে।
ভরপুর ভালোবাসা আপনার জন্য,
কেউ চিনে থাকলে মেনশন দিয়েন আপুকে।
(সুন্দরবন রেজিমেন্ট)”