৭ মাসের সন্তান পেটে নিয়েই অলিম্পিকে লড়লেন এক চিকিৎসক

মিসরীয় চিকিৎসক নাদা হাফেজ। চলমান প্যারিস অলিম্পিকে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে ফেন্সিংয়ে লড়েছেন এই নারী চিকিৎসক। বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তিনি। এই টানা তৃতীয়বারের মতো মিসরের হয়ে অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নেন নাদা। 

সোমবার (২৯ জুলাই) প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাদা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা-ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। হেরে যান ১৫-৭ পয়েন্টে।

বিদায় নেওয়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন এই চিকিৎসক। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার মুহূর্তে কেঁদেও ফেলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানান তার আবেগে ভেসে যাওয়ার কারণ, ‘পোডিয়ামে (বিজয় মঞ্চে) আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি!’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে (প্রতিপক্ষকে) দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *