নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল বাংলাদেশ। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ১০ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ফাইনালে ওঠার।
শ্রীলংকার ডাম্বুলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। যার জবাব দিতে নেমে অবলীলায় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ বল বাকি থাকতেই নিশ্চিত করেছে দলের জয়। পৌঁছে গেছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে।
৮১ রান তাড়ায় শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। তবে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত শেফালির চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন মান্ধানা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই এই দুজনে তোলেন ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন মান্ধানা। ৩৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই তারকার ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার। আর ২৮ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন শেফালি।
বাংলাদেশের হয়ে রান দেওয়ায় অকৃপণ ছিলেন দলের সেরা বোলার নাহিদা আক্তার। ৩ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়েছেন এই স্পিনার। ২ ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন পেসার মারুফা আক্তার।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে চারে নামা জ্যোতি ও আটে নামা স্বর্না আক্তার ছাড়া কেউই পাননি দুই অঙ্কের রানের দেখা। ব্যাট করা অন্য ৮ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ রান করেছেন ইশমা তানজিম। ৫১ বলে ২টি চারে ৩২ রান করেন অধিনায়ক জ্যোতি। আর ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন স্বর্না।
শেষদিকে স্বর্না একশ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে ব্যাট না করলে ৬০ রানের মধ্যেই আটকে যেতে পারত বাংলাদেশ। কারণ, ১৩ ওভার ৩ বলে ৪৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় দলটি। সপ্তম উইকেটে জ্যোতি ও স্বর্না ৩৬ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৮০ রানেই থামে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে কোনো রানই করতে পারেনি দলটি।
ভারতের হয়ে বল হাতে দুর্ষর্ধ ছিলেন রেনুকা সিং ও রাধা যাদব। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রেনুকা। আর সমান ওভারে সমান মেডেন দিয়ে ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাধা।